November 21, 2024, 1:31 pm
বিপ্লবী ডেস্ক ॥ আর মাত্র কয়দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ জুলাই ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হবে দেশ জুড়ে। এ লক্ষ্যে প্রতিবারের মত এবারও চরফ্যাশন উপজেলায় বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পশুর হাট। উপজেলা প্রশাসন থেকে এরই মধ্যে হাটগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সে হিসেবে চরফ্যাশন পৌরসভাসহ ৪ থানায় ২১টি ইউনিয়নে এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে পশুর হাট বসছে প্রায় ৬০টি। চরফ্যাশন, দুলার হাট, শশিভূষণ ও দক্ষিণ আইচা থানায় ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই অসংখ্য স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়ে থাকে প্রশাসন।
তার মধ্যে চেয়ারম্যান হাট, ভূঁইয়ার হাট, আবুগঞ্জ, কেরামতগঞ্জ, মাঝিরহাট, বাবুর হাট, কাশেমগঞ্জ, জনতা বাজার, শিবারহাট, ঘোষেরহাট, হাজিরহাট, বজলুরহাট, চরলীউলিন বাংলা বাজার, জলিল বেপারীর হাট, কুকরি মুকরি বাজার, ঢালচর বাজার উল্লেখযোগ্য। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, আমরা পশুর হাটের তালিকা চূড়ান্ত করেছি। প্রতিবছর উপজেলায় যে কয়টি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয় এবারও সেরকমই হয়েছে।
বাজারগুলোতে করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে প্রসাশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাস্ক পড়া ও টিকার ডোজ পুর্ণ করার জন্য জন্য প্রচারনা চলছে। তবে গরুর হাটে টিকা দেয়ার কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি।
তাছাড়া জাল নোট শনাক্তের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান। বাজারে তেমন কোন ক্রেতাকে মাস্ক পড়তে দেখা যায়নি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, এবার চরফ্যাশন উপজেলায় ৫১ হাজার ৪শত ৪২টি পশু কোরবানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পশু চরফ্যাশনের ১৮৩টি খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর বাইরে গৃহস্থলী এবং অন্য উপজেলা থেকে আসা পশু অতিরিক্ত যোগ হিসাবে থাকবে। তিনি আরও বলেন, অসুস্থ পশু চিহ্নিতকরণ ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ এর নেতৃত্বে মেডিকেল টিম গঠন করে প্রতিটি বাজারে প্রেরণ করা হচ্ছে।
Leave a Reply